করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রশাসন যখন ব্যস্ততম সময় পার করছে, ঠিক তখনি মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তদের উপদ্রব বেড়েছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ঐতিহাসিক মাজার এলাকায়। প্রকাশ্যেই দেখা যাচ্ছে মাদক বিক্রি ও সেবন।

মাজার এলাকায় অবস্থিত জাদুঘরের উত্তর দিকে, দিঘার পূর্ব ও উত্তর পার্শ্বে , বাঘা ইসলামি একাডেমির মাঠ সহ পশ্চিম পার্শ্বের রাস্তায়, বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আঙ্গিনা সহ উত্তরে অবস্থিত ফাঁকা মাঠ(সাম্প্রতিক ধর্ষণের ঘটনা স্থল) এলাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে মাদকের হাট। আর এই মাদকের হাট পরিচালনা করছে স্থানীয়ও কিছু নেতাবর্গ।

যুগ এখন আধুনিক মাদকাসক্তরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মাদক চেয়ে থাকে ব্যবসায়ীদের কাছে। লেনদেন হয় এই সকল স্থানে। সারাদিনে শত শত মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা আসে এবং মাদক সেবন করে স্থান ত্যাগ করে বলে জানাযায়।

স্থানীয় ব্যক্তিদের মৌখিক অভিযোগে বিষয় টা আরো পরিস্কারভাবে সামনে আসে এবং সেই সাথে জানাযায়, স্থান গুলো নির্জন ও ফাঁকা লোক সমাগম কম।সেই সুযোগে স্থানীয় কিছু মাদক ব্যবসায়ী স্থান গুলোতে মাদক বিক্রির স্পর্ট তৈরী করেছে। ভারতীয় মাদক দ্রব্য ফেন্সিডিল, গাজা ও ইয়াবা হরহামেশাই পাওয়া যাচ্ছে এই মাদক ব্যবসায়ী দের কাছে। বিভিন্ন ব্রেন্ডের মোটরসাইকেল নিয়ে মাদক সেবন করতে আসে মাদকাসক্তরা প্রায় প্রতি রাতেই একটি সাদা করোলা প্রাইভেট কার আসে একাডেমির পাশের রাস্তায়। আমরা এলাকায় আতংকের সহিত বসবাস করছি।স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীরা এবং তাদের বখাটে যুবকদের ভয়ে এলাকাবাসীরা কিছু বলতে বা করতে সাহস পায় না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাজার এলাকার কিছু দোকানদার জানান- পাবনা, ঈশ্বরদী, লালপুর, পুঠিয়া সহ এলাকার শত শত মানুষ আসে এই স্থান গুলোতে। তারা আগে টাকা দেই,পাশের ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে রাখা মাদক পরে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কেউ আড়ালে গিয়ে আবার কেউ প্রকাশ্যেই মাদক সেবন করে। এর পাশাপাশি শোনাযায় মাঝে মধ্যেই মাজার ঘুরতে আসা মানুষের মোবাইল ফোন ছিনতাই সহ মহিলাদের সাথে অসামাজিক আচরণ।

মাজার একটি পবিত্র স্থান, আর এই সকল স্থানে যারা অসামাজিক কার্যকলাপ করে তাদের ধরে প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া উচিৎ। তা নাহলে ঐতিহাসিক এই স্থানে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের হয়রানি সহ লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটবে প্রতিনিয়ত। যাতে করে বাঘা উপজেলা তথা এই মাজার এলাকার সুনাম ক্ষুন্ন হবে বলে মনে করেন মাজার মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা সম্মানিত মুসল্লীবৃন্দ।